রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উঠাতে লাগবে ৩০ টাকা

অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের খরচ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনে প্রতি মাসে পাঁচটির বেশি লেনদেন করলে গ্রাহকের (এটিএম কার্ডধারী) ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হবে। যদিও কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ১৫ টাকা করে দেবে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ (পিএসডি) এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তার ব্যাংক হিসাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান, তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। খুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এই চার্জ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে।

নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম ৫টি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে উত্তোলনকৃত অর্থ) ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। পরবর্তী লেনদেনগুলোর ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক থেকে আদায় করতে পারবে। আর কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে প্রতি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ৩০ টাকা করে দিতে হবে।

পরবর্তী লেনদেনগুলো ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক থেকে আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। নগদ অর্থ উত্তোলন ছাড়া অন্যান্য লেনদেনের সার্ভিস চার্জ বাবদ উল্লেখিত সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছে থেকে আদায় করতে পারবে।

দেশের অভ্যন্তরে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক লেনদেনপ্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা অ্যাকোয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। এ চার্জ অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।

নির্দেশনায় সরকারি পরিষেবার বিভিন্ন ফি এবং চার্জও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ টাকা এবং এর বেশি অ্যামাউন্ট পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ নিতে পারবে ব্যাংক। এ ছাড়া এমএফএস বা পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেনপ্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা নিম্নতর তা আদায় করা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page